শালাদের সাহস কত?

Sunday, November 30, 2008

শালা মোল্লাদের সাহস দেখে অবাক হই। এরা নিজেদেরকে কি মনে করে? তারা কি দুনিয়ার সব কিছু জেনে ফেলেছে নাকি? অবশ্য তাদের দোষ দিয়েই বা কি হবে? তাদের ধর্ম তাদেরকে যা শেখাচ্ছে তাই করছে। এত কথা বলছি আজকের একটা খবর পড়ে। কিছুদিন আগে ইসলামপ্রেমী জনগণরা বিমানবন্দরের সামনের 'লালন ভাস্কর্য' ভেঙে ফেলে। সরকার অবশ্য এর একটা সাফাই দিয়েছে। বলা হয়েছে যে ডিজাইন পছন্দ হয়নাই বলে ভাস্কর্যটি সরিয়ে নেয়া হয়েছে। কিন্তু এবার কি বলবে সরকার? বিডি নিউজ ২৪ এর খবরে পড়লাম---

ঢাকা, নভেম্বর ২৯ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- 'বলাকা' ভাস্কর্য শনিবার রাতে ভাংচুর চালিয়েছে উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত নামে ইসলামী একটি সংগঠনের কর্মীরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর মতিঝিল এলাকার ভাস্কর্যটির ওপর শাবল, হাতুড়ি, হামানদিস্তা নিয়ে হামলা চালায় শতাধিক আল বাইয়্যিনাত কর্মী। তারা বলাকা ভাস্কর্যের ছয়টি বকের মূর্তির ১২টি পা-এর পলেস্তারা খসিয়ে দেয়। পরে পুলিশি বাধার মুখে তারা পিছু হটে। ........
প্রত্যক্ষদর্শী এলিফ্যান্ট রোডের দোকান কর্মচারী গুলজার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, "পাঞ্জাবি পরা টুপি মাথায় প্রায় শ'খানেক লোক রাত সাড়ে ৯টার দিকে বলাকা ভাস্কর্যের ওপর চড়াও হয়। তাদের মধ্যে কয়েকজন ভাস্কর্যের ওপরে উঠে বকের গলায় দড়ি বাঁধে। বাকিরা সেই দড়ি নিয়ে টানাটানি করতে থাকে। আর কয়েকজন হাতুড়ি, শাবল দিয়ে বকের মূর্তিগুলোর ভিত্তি (পা) ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছিল।"

"ওই সময় কয়েকজন পুলিশ গিয়ে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালালে তারা পুলিশের ওপরও চড়াও হয়।"

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী মো. শাওন জানান, হামলার শুরুতে ওই এলাকায় থাকা স্বল্প সংখ্যক পুলিশ সদস্য বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। এরপর অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাঠিপেটা করে ভাংচুরকারীদের হটিয়ে দেয়।

ভাঙচুরকারীরা একটি লিফলেটও ছড়িয়ে দেয়। যাতে দেশ থেকে সব ভাস্কর্য, ছবি, মূর্তি ধ্বংস ও নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। ............

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম এর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিনিধি জানান, মতিঝিলে লাঠিপেটায় আহত আল বাইয়িন্যাতের আট কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য রাত ১১টার দিকে তাদের পুলিশি হেফাজতে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এরা হলেন, মো. হাসিবুর রহমান (২৮), মুফতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন (৩০), শাহ নেওয়াজ দীপু (৩০), মোহাম্মদ বিল্লাল (৪০), আব্দুল বারী (৩২), জিয়াউর রহমান (৩২), আরাফাত (২৩) ও মোস্তাক আহমেদ চৌধুরী (৫১)।

সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে মুফতি জাহাঙ্গীর বলে, আল্লাহর হুকুম জারির জন্যই তারা ভাস্কর্যটি ভাঙতে গিয়েছিলেন।


ধন্যবাদ মুফতি জাহাঙ্গীর সত্য কথাটা প্রকাশ করে দেয়ার জন্য। যারা ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলে প্রচারের অপচেষ্টা করে তাদের মুখে তুমি লাথি দিতে পেরেছে। আসলেই তো তোমার কি এমন ঠেকা পড়েছে যে বলাকা ভাঙতে যাবে। বলাকা বা বাউল ভাস্কর্য ভাঙলে তো তার ব্যক্তিগত ক্ষতি নেই।
এছাড়াও সরকার এদেরকে এই মুহূর্তে ঘাটাতে চাচ্ছে না। নির্বাচিত সরকারের উপর এদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার ছেড়ে দিচ্ছে। সেজন্য বাউল ভাস্কর্য নিয়ে সরকার কোন হার্ডলাইনে যায় নাই।
ফয়সল নোইয়ের ব্লগে দেখলাম মোল্লারা শাহবাগ মোড়ের নজরুলের মুর‌্যালটিকেও ভাঙার জন্য রওনা দিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের বাধার মুখে সেখানে পর্যন্ত যেতেই পারেনি। এটাই স্বাভাবিক। এটাই হওয়া উচিত। মূর্তি হল কৃত্রিম কাঠামো। আর পূজা হলো ভালবাসা। তা সে যেভাবেই করুক না কেন।
উল্লেখ্য যে মতিঝিল এলাকায় ১৯৮৯ সালে ৪১ ফুট উচ্চতার বলাকা ভাস্কর্যটি নির্মিত হয়।

1 comments:

Anonymous December 4, 2008 at 1:46 AM  

সাব্বাস বাঙালী। মারো জোরে টান, হও আগুয়ান।

Post a Comment

Blog Archive

মুক্তমনা বাংলা ব্লগ

  © Dristipat

Back to TOP