মুরতাদ উদীচী
Friday, November 14, 2008
এই লিফলেটটি হস্তগত হইল। পাঠ করিয়া বহুত বিমলানন্দ পাইলাম। পাঠক সাধারণের সুবিধার্থে লিফলেটটি ব্লগস্থ করিলাম।
সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অবমাননাকারী
উদীচী মুরতাদ গং
নবীজীকে 'কুত্তার বাচ্চা মুহম্মদ' বলে বার বার অশ্লীল গালি প্রদান করেছে রাবিতে মঞ্চস্থ মান্দার নাটকে। দুঃখ প্রকাশ ও প্রকাশ্য তওবা করার পরিবর্তে উল্টো চরম স্পর্ধামূলক ঘোষণা দিয়েছে- মুসলমানদেরকে শহীদ করার ও পুনরায় ঐ মুরতাদী নাটক মঞ্চস্থ করার ও প্রচার করার অতএব, দেশবাদী মুসলমান! ঐ কুখ্যাত উদীচী মুরতাদ গংদের ইসলামী শাস্তি- 'মৃত্যুদণ্ড' বাস্তবায়নে একজোট হোন।
ঈমান রক্ষা করুন, মুসলমান থাকুন, দেশ বাঁচান।মুহতারাম দেশবাসী, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমতুল্লাহ।
আপনারা অবগত আছেন যে, গত ৩রা নভেম্বর/ ২০০৮ "রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী কর্তৃক প্রদর্শিত 'মান্দার' নামক নাটকে একটি ব্যঙ্গ চরিত্রের নাম রাখা হয় 'মোহাম্মদ রাসুল'। নাটকের মধ্যে মোহাম্মাদ রাসুলের চরিত্রকে ব্যঙ্গ করে অধিকাংশ দৃশ্যে 'এই কুত্তার বাচ্চা মোহাম্মদ রসূল' বলে গালি দিয়ে তার চরিত্রটিকে চামচা হিসেবে ব্যবহার করা হেযেছে( নাউযুবিল্লাহ। যা দ্বারা মূলতঃ ইসলাম ধর্মের প্রাণপুরুষ মোহাম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সালাল্লামকেউ বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে।
এর দ্বারা দেশের ৯৫ ভাগ মুসলমান অর্থাৎ প্রায় ১৫ কোটি মুসলমানসহ মূলতঃ বিশ্বের ২৫০ কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে গভীর আঘাত হেনেছে। কারণ, আখিরী রসূল, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর মুহব্বতই হলো ঈমান ও ইসলাম এবং মুসলমানের মূল। আমরা 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহম্মাদুর রসূলুল্লাহ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম' বলেই মুসলমান হয়েছি। আর কাফির মুরতাদরা সে কথা জেনে শুনেই সম্পূর্ণ বিদ্বেষপরায়ণমূলকভাবে তাদের প্রদর্শিত নাটকে ও রচিত সাহিত্যে আখিরী রসূল, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর অবমাননা করে।
প্রসঙ্গতঃ উল্লেখ্য, সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালী, হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর অবমাননা করে ব্রিটিশ আমলে এরকম এক মুরতাদ 'রঙ্গীলা রসূল' নামক বিদ্রুপাত্মক বই লিখেছিলো। তখন একজন মর্দে মুজাহিদ তাকে কতল করে ইসলামে বর্ণিত মুরতাদের শাস্তি বাস্তবায়ন করেন। কোর্টে উকিল তাকে একটু মিথ্য বলার জন্য অনুরোধ করলে সে জবাব দেয়, "আমি দেখতে পাচ্ছি দয়ার নবীজী হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে জান্নাতে আহ্বান করছেন। সুতরাং আমার মিথ্যা বলার দরকার নেই"। (সুবাহানাল্লাহ)
মুহতারাম মুসলমান, কুরআন শরীফ-এ আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, "যে ক্বওম মহান আল্লাহ পাক ও পরকালের প্রতি ঈমান রাখে সে ক্বওম কখনও মুহব্বত করবে না, সম্পর্ক রাখবে না ঐ ব্যক্তিদের সাথে-যারা মহান আল্লাহ পাক-এর পেয়ারা রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করে, বিরোধিতা করে, মানহানি করার কোশেশ করে। যদিও বিরোধিতাকারীরা ঈমানদারদের পিতা-মাতা, দাদা-দাদী, নানা-নানী, সন্তান-সন্তুতি, নাতী-নাতনী, ভাই-ভাতিজা, আত্মীয়-স্বজন, জ্ঞাতি-গোষ্ঠী যেই হোক না কেন। (বরং তারা অবশ্যই এর বদলা নিবে)। কারণ, তাদের অন্তরে ঈমানকে লিপিবদ্ধ করে দেয়া হয়েছে।" (সুরা মুজাদালা/২২)
আরো ইরশাদ হয়েছে, "তোমরা তাদেরকে কতল কর, যারা আল্লাহ পাক ও তাঁর রসূল হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর প্রতি ঈমান আনে না।" (সুরা আলে ইমরান)
আরো ইরশাদ করেন, "কাফির-মুশরিকদেরকে কতল করুন, যেখানেই পান তাদেরকে পাকড়াও করুন, আবদ্ধ করুন এবং তাদেরকে কতল করার সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। যদি তারা তওবা করে, নামায কায়িম করে, যাকাত আদায় করে তবে তাদেরকে ছেড়ে দিন। আল্লাহ পাক ক্ষমাশীল, দয়ালু।"
মুহতারাম মুসলমান, ইসলামের দৃষ্টিতে মুরতাদদের তওবার জন্য নির্ধারিত সময় ৩ দিন। অথচ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ধূমকেতু নাট্য সংসদের 'মান্দার' নামক নাটকে সাইয়্যিদুল মুরসালীন, ইমামুল মুরসালীন হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নাম মুবারক ব্যঙ্গ চরিত্রে ব্যবহার এবং তাঁর প্রতি বারবার চরম অশ্লীল গালি প্রদানকারীসহ সংশ্লিষ্ট সময়ের নিকৃষ্ট মুরতাদরা কেউ এখনও তওবা করেনি। দুঃখ প্রকাশ ও প্রকাশ্য তওবা করার পরিবর্তে উল্টো চরম স্পর্ধামূলক ঘোষণা দিয়েছে মুসলমানদেরকে শহীদ করার এবং পুনরায় ঐ মুরতাদী নাটক মঞ্চস্থ করার ও প্রচার করার।
কাজেরই এসব মুরতাদদেরকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া বাংলাদেশ সরকারসহ দেশের ১৫ কোটি মুসলমানের জন্য ফরয-ওয়াজিব। যদি সরকার এ সকল মুরতাদদেরকে মৃত্যুদণ্ড দিতে ব্যর্থ হয় তবে মহান আল্লাহ পাক ও তাঁর হাবীব ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- এর নিকট তাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।
মুহতারাম মুসলমান, হাদীছ শরীফ-এ ইরশাদ হয়েছে, "যখন কোন অন্যায় হতে দেখ- হাত দিয়ে বাধা দাও। না হলে মুখে বলো।" কাজেই যাদের হাত দিয়ে বাধা দেয়ার সুযোগ নেই তারা তাহলে ঐ মুরতাদদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থান হতে ধর্মীয় অনুভূতিতে চরম আঘাত হানার প্রতিবাদে মামলা করুন। মুরতাদদের বিষদাঁত ও কালো থাবা ভেঙ্গে দিন। ইসলামের উপর আঘাতের জবাব দিন। মুসলমানের ঈমান রক্ষা করুন। 'লা-ইলাহা ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম' এই কলেমা বলার হক্ব আদায় করুন। প্রকৃত মুসলমান হোন।
স্মর্তব্য যে, হাদীছ শরীফ- এ ইরশাদ হয়েছে, রসুলে পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম- "আমি এসেছি মূর্তি এবং বাদ্যযন্ত্র ধ্বংস করতে" অথচ লালনের মূর্তি ভাঙ্গার কারণে উদীচী মুরতাদ গোষ্ঠী যে অশ্লীল এবং অশ্রাব্য নাটক করেছে এতে দেশবাসীর উচিৎ সমস্ত মূর্তি এবং ভাস্কর্য ধ্বংস এবং নিশ্চিহ্ন করে দেয়া।
বিঃ দ্রঃ এ লিফলেটটি ফটোকপি করে বা ছাপিয়ে বেশী বেশী প্রচার করে ছদক্বায়ে জারিয়ার ফযীলত হাছিল করুন।
উলামা আঞ্জুমানে আল বাইয়্যিনাত, বাংলাদেশ
৫, আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা- ১২১৭।
৫, আউটার সার্কুলার রোড, রাজারবাগ শরীফ, ঢাকা- ১২১৭।
3 comments:
মারহাবা, মারহাবা
Wow!! what a জোশ!!!!!!
আমিন, ছুম্মা আমিন!
Post a Comment