এক সৌদি মেয়ের গল্প
Wednesday, January 14, 2009
এক সৌদি মেয়ের গল্প শুনুন।
নাজাত তার নাম। বয়স ২০ বৎসর। জন্ম থেকেই মেয়েটি কথা বলতে কিংবা শুনতে পারেনা। ছোট ভাই তালেবকে নিয়ে একদিন গেল রিয়াদের প্রধান শপিং মলে। ভাই বাইরে থেকে এক ঘন্টার মধ্যে ঘুরে আসবে বলে চলে গেল। নাজাত এক ঘন্টার মধ্যে কেনাকাটা শেষ করে ফেলল। কেনাকাটা শেষে বাইরে বারান্দায় দাড়িয়ে ভাইয়ের জন্য অপেক্ষা করছিল। হঠাৎ সে নজরে পড়ল সৌদি ধর্মীয় পুলিশ মোত্তাওয়ালার। তারা দেখেই ধারণা করে ফেলল যে এই মেয়ে একজন পতিতা। কোন খদ্দেরের জন্য অপেক্ষা করছে। কিছুক্ষণ পর ভাই তালেব ফিরে এলে তারা দুজনই যখন প্রধান গেট দিয়ে বের হয়ে আসছিল, তখন মোত্তাওয়ালারা সামনে এসে দাড়াল। দুজনকে ধরে নিয়ে গেল। নানা ঘটনার পর তারা সিদ্ধান্ত নিল যে এই মেয়ে পতিতা না হয়ে যায় না। যথারীতি পাথর ছুড়ে তাকে হত্যা করার সুপারিশ হল। দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিন্স সেই আদেশে সই করলেন।
এদিকে এক সপ্তাহ ধরে নানা জায়গায় খোজাখুজি শেষে বাবা মা ছেলে মেয়ের খোজ বের করতে পারলেন। যখন তিনি সরাসরি প্রিন্সের কাছে পৌছালেন, তখন মেয়েটির মৃতুদণ্ড বাস্তবায়ন হয়ে গেছে। প্রিন্স তাকে বলল- নিজের ছেলেমেয়ের দিকে খেয়াল রাখতে পারেন না, কেমন বাবা আপনি? বরং আল্লাহর কাছে হাজার শোকর যে আমরা সৌদি সমাজকে রসাতলে যাবার আর একটি প্রচেষ্টার হাত থেকে রক্ষা করতে পেরেছি।
পিতা সন্তুষ্ট হলেন না। তিনি জানতেন যে ন্যায় বিচার পাবেন না। তাই আইন নিজের হাতে তুলে নিলেন। দারোগাকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে চেষ্টা করলেন। কিন্তু তাতে বিফল হলেন। ফলে প্রকাশ্যে শিরচ্ছেদ করে তাকে হত্যা করা হল। তালেবেকে দেয়া হল ২০০ দোররা মারার আদেশ।
গল্পটা নেয়া হয়েছে ফেইথ ফ্রিডম থেকে।
0 comments:
Post a Comment